Header Ads

Header ADS

হৃদযন্ত্রের শত্রু যে ১০টি বদভ্যাস

হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আধুনিক জীবনে অনেক বেশি স্ট্রেস ভর করছে। তাই সময়ের বহু আগেই হৃদযন্ত্রটা তার স্বাস্থ্য হারাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার জীবনযাপনের অভ্যাসের কারণেই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হৃদযন্ত্র। এখানে জেনে নিন এমনই ১০টি বদভ্যাসের কথা। এগুলো আপনার হৃদযন্ত্রের দারুণ ক্ষতি করে চলেছে।

১. টেলিভিশন দেখা : যে মানুষ দিনে ৪ ঘণ্টার বেশি টেলিভিশন দেখেন, তাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ৮০ শতাংশ দায়ী থাকবে হৃদযন্ত্রের নানা সমস্যা। আর এই সময় ধরে টেলিভিশন দেখা হৃদযন্ত্রের জন্যে ক্ষতিকর। টেলিভিশন বা কম্পিউটারের সামনে বহু সময় ধরে বসে থাকার ফলে রক্তে সুগার এবং ফ্যাটের পরিমাণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। স্রেফ অভ্যাসের কারণে মানুষ দীর্ঘক্ষণ টিভি দেখেন।

২. প্রতিকূলতা ও বিষণ্নতাকে পাত্তা না দেওয়া : প্রায় সময়ই আপনি নিশ্চয়ই স্ট্রেস বা বিষণ্নতা বা অন্যান্য মানসিক সমস্যা অনুভব করেন। কিন্তু এগুলো এড়িয়ে যাওয়া মোটেও ভালো কাজ নয়। এ সময়টিতে আপনি আবেগের সঙ্গে যে যুদ্ধ করেন তা হৃদযন্ত্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৩. নাক ডাকা : ঘুমানোর সময় নাক ডাকা সবার কাছে সাধারণ একটি বিষয়। কিন্তু এতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে এবং রক্তচাপ হু হু করে বেড়ে যায়। যাদের নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে তাদের হৃদযন্ত্রের ওপর বাজে প্রভাব পড়ে। স্থূলতাও তাদের অন্যতম সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। নাক ডাকিয়ে ঘুমানোর পর যদি ক্লান্ত বোধ করেন, তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

৪. দাঁতে সমস্যা : দাঁতের সমস্যার সঙ্গে হার্টের সমস্যার দারুণ যোগসূত্র রয়েছে। নিয়তিম ব্রাশ না করলে এবং মুখের ভেতরটা পরিষ্কার না রাখলে দেহে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো দেহে রক্তচলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।

৫. সামাজিক বন্ধন : মানুষ সামাজিক প্রাণী। পরিবার, বন্ধুমহল এবং সমাজের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আপনার জীবটাকে আরো সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর করে দেবে। সবার জীবনেই একাকী সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তা সব সময়ের জন্যে নয়। নিজেকে সমাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে আপনার হৃদয় অসুস্থ হয়ে পড়বে।

৬. অতিমাত্রায় অ্যালকোহল পান করা : এই পানীয় হৃদযন্ত্রের জন্যে খুবই ক্ষতিকর। উচ্চরক্তচাপ, রক্তে ফ্যাট বৃদ্ধি এবং হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্যে অ্যালকোহল ত্যাগ করতে হবে।

৭. বেশি বেশি খাওয়া : খাদ্যের প্রয়োজন সুস্বাস্থ্যের জন্যে। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া দেহের জন্যে ক্ষতিকর। তা ছাড়া জাঙ্ক ফুডের ক্ষতির কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। তাই কম ফ্যাটযুক্ত খাবার বেছে খাওয়া উচিত। এতে হৃদযন্ত্র ভালো থাকবে।

৮. ধূমপান করা বা ধূমপায়ীর সঙ্গে থাকা : ধূমপানের দারুণ ক্ষতিকর। তা ছাড়া ধূমপায়ীর সঙ্গে চলাফেরা করাও সমান ক্ষতিকর। ধূমপানের কারণে রক্তবাহী নালী সরু হয়ে আসে। উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টরেল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং ধূমপান হৃদযন্ত্রকে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়।

৯. শাক-সবজি এড়িয়ে চলা : হৃদযন্ত্রের সবচেয়ে ভালো খাবার হলো সবুজ শাক-সবজি, বাদাম, শস্য, স্বল্পমাত্রার ফ্যাটযুক্ত খাবার এবং টাটকা খাবার। সবজি থেকে দূরে থাকা হৃদস্বাস্থ্যে জন্যে ভালো না। গবেষণায় বলা হয়, যারা নিয়মিত সবজি এবং ফল খান তারা হৃদরোগের ২০ শতাংশ কম ঝুঁকিতে থাকেন।

১০. লবণপূর্ণ খাবার বেশি খাওয়া : যত বেশি লবণ খাবেন, রক্তচাপ তত বেশি হবে। এর সঙ্গে যোগ হবে স্ট্রোক, কিডনি বিকল হওয়া বা হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা। জাঙ্কফুডে সবচেয়ে মারাত্মক দিকটি হলো, এতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। তাই বেশি লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলবেন এবং বাড়তি লবণ থাকবেন না। - See more at: http://www.alokitobangladesh.com/online/health/2015/07/17/7042#sthash.3mJBGKuG.dpuf

No comments

Powered by Blogger.