Header Ads

Header ADS

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ডিভোর্স হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে ডিভোর্স দেবে তার অনেক বেশি হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা রয়েছে। মার্কিন চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়, নারী-পুরুষের মধ্যে যে ডিভোর্স দেয় তিনি তার সঙ্গীর তুলনায় তখনই অনেক বেশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকেন যখন তার ডিভোর্সপ্রাপ্ত সঙ্গী বিয়ে করে নেন।
১৫ হাজার ৮২৭ জনের উপর এ গবেষণা চালানো হয়। তাতে দেখা যায়, পুরুষ সঙ্গীর তুলনায় নারীরা সবচেয়ে বেশি হার্ট অ্যাটাকের সমস্যায় আক্রান্ত হন। তবে পুনরায় বিয়ের পরই শুধু এ সমস্যা অনেকখানি লাঘব হয়ে যায়।
বিবিসি জানায়, সম্প্রতি গবেষণাটি ‘সার্কুলেশন’ নামের একটি গবেষণা সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, ডিভোর্সের মতো স্থায়ী মানসিক চাপ শরীরের উপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন ডিভোর্সকে কেন্দ্র করে আরো বেশি গবেষণার উপর জোর দিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ডিভোর্সকে হার্টের অন্যতম প্রধান ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে শ্রেণিভুক্ত করেছে।
যে ধরনের সম্পর্কে ঘনিষ্ঠ প্রেম থাকে তা ভেঙে যাওয়ার পর হৃদরোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘ইতিমধ্যে আমরা জানি, ঘনিষ্ঠ ভালোবাসার কারো মৃত্যু হৃদরোগের ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে।
ডিউক ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক তাদের গবেষণা সমীক্ষায় ডিভোর্সের পর পর ঠিক এমনি একটি ঘটনা দেখতে পান। কারণ হিসেবে বলা হয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় মনস্তাত্ত্বিক চাপটি স্থায়ী চাপে পর্যবসিত হয়, যেটি উচ্চ প্রদাহের সৃষ্টি করে। একইসঙ্গে এতে করে হরমোনের উপর চাপ বেড়ে যায়।
গবেষণায় বলা হয়, যে নারীরা অন্তত একবার ডিভোর্স দিয়েছেন তাদের ২৪ শতাংশের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ছিল অনেক বেশি। তবে সে তুলনায় যারা ডিভোর্স দেয়ার পর সাথে সাথে বিয়ে করেছেন তাদের হার্টের ঝুঁকি কম দেখা যায়। ডিভোর্স দিয়ে পুনরায় যারা বিয়ে অব্যাহত রেখেছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রায় শতকরা ৭৭ জনের বহু ডিভোর্স হয়েছে।
গবেষণায় পুরুষের ক্ষেত্রে এক ডিভোর্সের পর ১০ শতাংশ এবং বহু ডিভোর্সের পর ৩০ শতাংশ ঝুঁকি বেড়েছে দেখা যায়।
গবেষণা দলের অন্যতম গবেষক প্রফেসর লিন্ডা জিওর্জ বলেন, ‘উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তুলনামূলকভাবে ডিভোর্সজনিত এই চাপ অনেক বেড়ে যায়। কিংবা ধরুন, আপনার ডায়াবেটিস আছে, তাহলে এটি বাড়বে। এটি বেশ মারাত্মক।’

No comments

Powered by Blogger.