Header Ads

Header ADS

টনসিলঃ মুখগহ্বরের প্রহরী

টনসিলঃ মুখগহ্বরের প্রহরী

শীতের সময় ঠান্ডায় আক্রান্ত হওয়া অঙ্গগুলোর মধ্যে টনসিল অন্যতম। টনসিল জিভের শেকড়ের শেষ প্রান্ত ও আলা জিভের দুই পাশে অবস্থিত। এ অঙ্গটি প্রায় গোলাকার, মাংসপিণ্ড দ্বারা তৈরি। দেখতে কাঠবাদামের মতো।
জন্ম থেকেই প্রতিটি মানুষের টনসিল থাকে। মুখের ভেতরের পাতলা আবরণ দ্বারা ঢাকা থাকে এর চারপাশ। জন্মের পর নবজাতকের টনসিল আকৃতিতে অনেক বড় হয়। বয়স যত বাড়তে থাকে, টনসিল আকৃতিতে ততই ছোট হয়
বয়ঃসন্ধিকালের পর যে আকৃতিতে পৌঁছায়, সে আকৃতিতেই সারা জীবন থাকে। বাইরে থেকে কানের নিচে চোয়ালের গোড়ার ভেতরের দিকে টনসিলের অবস্থান। ঠান্ডা লেগে টনসিল ফুলে গেলে বাইরে থেকে হাত দিয়ে অনুভব করা যায়। এটি বেশি ফুলে গেলে প্রদাহের সৃষ্টি করে। তখন তাকে বলে টনসিলাইটিস। টনসিলাইটিস মারাত্মক পর্যায়ে গেলে অপারেশন করে টনসিল ফেলে দিতে হয়
মুখগহ্বরের ছিদ্র, নাক, কান, গলা দিয়ে যে ধুলোবালি, রোগজীবাণু ঢোকে, টনসিল তা প্রতিরোধ করে। মুখগহ্বরের যাবতীয় রোগজীবাণুকে মেরে ফেলাই এর প্রধান কাজ। তাই মুখগহ্বরকে সারাক্ষণ রক্ষাকারী এই অঙ্গটিকে বলেমুখগহ্বরের প্রহরী
মুখগহ্বরের প্রহরীর কাজ
*
মুখগহ্বরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা
*
শিশুদের ক্ষেত্রে দেহের সঙ্গে মুখগহ্বরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো
মুখগহ্বরের প্রহরীর যত্নে আমাদের করণীয়
*
প্রতিদিন ভিটামিনসি’-যুক্ত মৌসুমি ফল খান। ভিটামিনসিসর্দি, কাশি ঠান্ডার বিরুদ্ধে দেহে প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলে।
* যাঁদের সাইনোসাইটিসের সমস্যা রয়েছে, একটুতেই ঠান্ডা লেগে যায়, তাঁরা সময় সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে কুসুম গরমপানি খান। গরমপানি অবস্থা বুঝে খান।
*
গোসলের পর চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। প্রয়োজনে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করুন। তবে নিয়মিত হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা ঠিক নয়।
*
অনেকেরই শীতকালে নাক ডাকে। বিশেষত শিশুরা শীতকালে অনেকেই মুখ হাঁ করে ঘুমায়, নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে পারে না। নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় ঘড়ঘড় শব্দ হয়। এই উপসর্গবিশিষ্ট শিশুরা অধিকাংশই টনসিলাইটিসে আক্রান্ত থাকে। বিষয়ে মা-বাবার মনোযোগী হওয়া দরকার।
*
শীতকালে জ্বর-জ্বর বা গলাব্যথা হলে কুসুম গরমপানির সঙ্গে লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করুন।
*
টনসিল অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত চিকিসকের পরামর্শ নিন।
*
পানি রক্তের রোগজীবাণু মূত্রের সাহায্যে দেহের বাইরে বের করে দেয়। পানি দেহের প্রায় প্রতিটি অঙ্গের ওপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে। তাই বিশুদ্ধ পানি যতটুকু সম্ভব পান করুন


উৎসঃ দৈনিক প্রথম আলো, ১২ ডিসেম্বর ২০০৭
লেখকঃ ফারহানা মোবিন

No comments

Powered by Blogger.